ফিসিং কি?
এই অনলাইনের যুগে সাইবার সিকিউরিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আপনি অনেক ভাবে সাইবার ক্রিমিনাল দের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। এদের একটি পদ্ধতি হলো ফিসিং পদ্ধতি। তো আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে ফিসিং পদ্ধতি থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন।
ফিসিং পদ্ধতি হলো সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতির মাধ্যমে সাইবার এট্যাক। এই এট্যাকএর দ্বারা আপনার বিভিন্ন লগ ইন ডাটা, পাসওয়ার্ড চুরি এবং কার্ড এর ডাটা চুরি করতে পারে।
ফিসিং ট্রিকের সময় ইউসাররা একটি ও আসল ওয়েব সাইট এর মতন দেখতে লিংক পাঠায় এবং সেই লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ কোনো তথ্য শেয়ার করে সেগুলি হ্যাকারদের কাছে চলে যায় এবং ওই তথ্যগুলি নিয়ে তারা বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম গুলি করে, ব্যাংক এর তথ্য হাতিয়ে নিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়।
ইমেইল ফিসিং
এই এট্যাক করার সময় একটি ইমেইল অনেকগুলো ইউজারকে পাঠানো হয়। সেই ইমেইল গুলি বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি এর মতন দেখতে একই রকম লোগো, ফ্রন্ট, সাইজ ব্যবহার করা হয় ইউজারকে বিদ্ভ্রান্ত করতে। সেই লিংক গুলোতে ক্লিক করে যে ডাটা চুরি করা হয় সেই পদ্ধতিকে বলা হয় ইমেইল ফিসিং।
কিকরে ফিসিং এট্যাক থেকে নিজেকে প্রতিরোধ করবেন?
- অজানা কোনো লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন।
- নিজের একাউন্টের সুরক্ষার জন্য টু ফ্যাক্টর ওথেন্টিকেশন ব্যবহার।
- খুব ভালোকরে দেখে নেয়া সেটি অরিজিনাল লিংক কিনা।
- লিংকের শুরুতে https আছে কিনা দেখে নেয়া।
- মেসেজ এর সোর্স টাকে ভালো করে দেখে কনফার্ম করা।
আপনি যদি এই এট্যাকএর স্বীকার হন তাহলে কি করবেন?
- নিজের পাসওয়ার্ড গুলোকে নিয়মিত ব্যবধানে পরিবর্তন করা।
- যদি টু ফ্যাক্টর ওথেন্টিকেশন চালু না করা থাকে তাহলে সেটিকে অন করা।
শেষে একটি কথা বলা যায় যে, এই ধরণের সাইবার এট্যাক থেকে নিজেকে সব সময় সুরক্ষিত রাখতে হলে নিজেকে সব সময় অনলাইন দুনিয়ায় সাবধানে থাকতে হবে। ওপরের টিপস গুলো মেনে চলুন দেখব অনেকটা সুরক্ষিত বোধ করবেন নিজেদের।